চকরিয়া-রামুতে দুই ধর্ষণ: পুলিশের স্ত্রী ও ১৪ বছরের শিশু কন্যা ধর্ষণের শিকার— Coxsbazar Bulletin

সিবি ডেক্স: কক্সবাজারের চকরিয়া ও রামু উপজেলায় একই সময়কালে ঘটেছে দুইটি নির্মম ধর্ষণের ঘটনা। চকরিয়ায় গভীর রাতে এক চোর ভাড়া বাসায় ঢুকে পুলিশের স্ত্রীর ওপর হামলা চালিয়ে ধর্ষণ করে। অন্যদিকে রামুতে এক পল্লী চিকিৎসক ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার (১৫ জুলাই) রাত ৩টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের এক বাসায় অজ্ঞাত এক যুবক রান্নাঘরের জানালা দিয়ে প্রবেশ করে। তার হাতে ছিল ধারালো দা ও টর্চলাইট। ভেতরে ঢুকে সে ওই নারীকে ভয় দেখিয়ে মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় ঘরে থাকা দুটি ছোট সন্তান ভয়ে কাঁদতে থাকে। পরবর্তীতে রাতেই পুলিশের স্ত্রী ও তার স্বামী থানায় যোগাযোগ করেন এবং পরদিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

রামু উপজেলার ঈদগড় বাজারে রবিবার (১৩ জুলাই) সকালে আরেক ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। পল্লী চিকিৎসক সেলিম বাহাদুর একটি ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে অচেতন করে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর মা। মামলাটি রামু থানায় রেকর্ড হয়েছে এবং পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছে।

এই দুটি ঘটনা সমাজে নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে।

Post a Comment

0 Comments