চকরিয়ার মোস্তাক মিয়া ঘাটে প্রতিরাতে গণডাকাতি!

সিবি ডেক্স: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মোস্তাক মিয়া ঘাট এলাকায় প্রতিরাতে গাড়ি থামিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাতি চলছে। নির্জন সড়ক হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই ডাকাত দলকে থামাতে পারছে না কেউ, ফলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। সচেতন মহল মনে করছেন, এই রাস্তায় জরুরি ভিত্তিতে পুলিশি টহল জোরদার প্রয়োজন।

গতরাতে পেকুয়ার ছয়জন—যাদের মধ্যে রয়েছেন পেকুয়া কৃষক দলের আহ্বায়ক আবু ছিদ্দিক রনি, ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাইমুর রহমান হৃদয়, সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি হিরো আলম, মানবজমিনের জয়নাল, আনন্দ টিভির রাশেদ ও দৈনিক গণসংযোগের নেজাম—চকরিয়া যাওয়ার পথে ডাকাতদের কবলে পড়েন। তাদের বেঁধে শারীরিকভাবে মারধর করা হয় এবং সঙ্গে থাকা আইফোনসহ একাধিক মোবাইল, নগদ টাকা, মানিব্যাগ, হাতঘড়ি ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নেয় ডাকাতরা। ডাকাতিতে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

সাংবাদিক হিরো আলম তার ফেসবুকে জানান, তারা ইসলামনগর এলাকায় রাতের খাবার খেতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মোস্তাক মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছানোর পরই ডাকাতরা রাস্তা আটকে বেঁধে ফেলে সবকিছু লুট করে নেয়।

স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার পর এই সড়কে প্রায়ই ডাকাতি হয়। আশপাশে জনবসতি কম ও পাশে মাতামুহুরি নদী থাকায় ডাকাতরা সহজেই নদীপথে পালিয়ে যেতে পারে। এ কারণেই এই স্থানটি ডাকাতদের “ট্রানজিট পয়েন্ট”ে পরিণত হয়েছে।

ঘটনার পর চকরিয়া–পেকুয়ার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল তৈরি করেছে। পুলিশ জানায়, ডাকাতদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এলাকার সচেতন মানুষের দাবি—ডাকাত নির্মূলে জিরো টলারেন্স ঘোষণা, নিয়মিত রাতের টহল এবং দ্রুত গ্রেপ্তারই পারে এ রাস্তায় নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে।

Post a Comment

0 Comments