অভিযোগের ভিত্তিতে বিট কর্মকর্তা আরাফাত মাহমুদ সঙ্গীয় সহকর্মীদের সঙ্গে অভিযান স্থলে পৌঁছালে ডাম্পারের চালক মান্নান দ্রুত মাটি আনলোড করে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় গাড়িটি কর্মকর্তা আরাফাত মাহমুদের খুব কাছ দিয়ে ছুটে যাওয়ায় তিনি কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান। ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে স্থানীয়দের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন চলছে। নিয়মবহির্ভূত এই কার্যক্রমের কারণে পরিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি ভারী যানবাহনের অতিরিক্ত গতিতে চলাচল স্থানীয়দের নিরাপত্তাকে চরম ঝুঁকিতে ফেলেছে।
পালিয়ে যাওয়া ডাম্পারের চালক হিসেবে মান্নান এবং মালিক হিসেবে শাহাবুদ্দিন ওরফে সোনা মিয়া-র নাম জানা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় তারা দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
ঘটনার পর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, অবৈধ মাটি উত্তোলন, সরকারি কাজে বাধা ও কর্মকর্তার জীবনের ঝুঁকি সৃষ্টি—এসব ঘটনায় আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের মতে, নিজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন বিট কর্মকর্তা আরাফাত মাহমুদ, তা মাঠপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের দৈনন্দিন ঝুঁকির বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে।
0 Comments