বিক্ষোভকারীরা জানান, মহাসড়কটি এখন কার্যত “মৃত্যুফাঁদে” পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় মানুষ হতাহত হচ্ছে। বহুবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমস্যাগুলো জানালেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ না থাকায় তারা আবারও কঠোর আন্দোলনে নেমেছেন বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।
বাসিন্দাদের মতে, চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক দেশের অর্থনীতি, পর্যটন খাত, রোহিঙ্গা শিবিরে ত্রাণ সরবরাহসহ নানা ক্ষেত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষ এই রুটে চলাচল করলেও সড়কের বহু অংশ এখনও সরু, কোথাও ঢালু, আবার কোথাও তীব্র বাঁক রয়েছে—যা বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে রাতে লবণবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়।
বিক্ষোভকারীরা আরও জানান, একই দাবিতে গত ৬ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। পরে ১১ এপ্রিল সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকেও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় তারা পুনরায় সড়কে নেমে প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হয়েছেন।
0 Comments