পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাহাপুর ইউনিয়নের জগির মোড় ও চর আলহাজ্ব মোড় এলাকায় টানা দুই স্থানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ায় উভয় দলের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন পাবনা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলও।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দুদিন আগে কৃষক দল সভাপতি মক্কেল মৃধা ও স্থানীয় জামায়াত নেতা ইকবাল হোসেনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হওয়ায় দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকালে অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলের নেতৃত্বে জামায়াতের শতাধিক কর্মী আলহাজ্ব মোড়ে গেলে উত্তেজনা বাড়ে। সেখানে মক্কেল মৃধা ও তার ছেলে মনিরুল ইসলামকে পেয়ে জামায়াত কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়।

খবর পেয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা পাল্টা আক্রমণে গেলে সংঘর্ষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী চর আলহাজ্ব মোড়েও। সংঘর্ষের সময় গুলিবর্ষণ, আবু তালেবের গাড়ি ভাঙচুর এবং প্রায় ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরানোর ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন জামায়াত নেতা সাইদুল ইসলাম, কৃষক দল সভাপতি মক্কেল মৃধা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আব্দুল আলিম বাঁধন, যুবদল নেতা মিলন, রকিবুলসহ দুই দলের বহু কর্মী। আহতরা পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

সংঘর্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় জনগণের মধ্যে। অধ্যাপক আবু তালেব দাবি করেন, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে গেলে বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। তবে সাহাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হামিদুর রহমান অভিযোগ করেন, তালেব মণ্ডল নিজেই অস্ত্রসহ দলবল নিয়ে হামলা করেছেন এবং অস্ত্র কর্মীদের হাতে তুলে দিয়েছেন।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।