নাইক্ষ্যংছড়িতে রাবার বাগান দখল উত্তেজনা

মোহাম্মদ সেলিম, ঈদগাঁও: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর আলীক্যাং ধুইল্লাজিরি এলাকায় জহির কোম্পানির রাবার বাগানকে কেন্দ্র করে চুরি, লুটপাট ও জবর দখল চেষ্টার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী চক্র বাগানটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেছে মালিকপক্ষ।

১৪ নভেম্বর গভীর রাতে সংঘবদ্ধ ১২–১৫ জনের একটি দল অস্ত্রের মুখে বাগান থেকে প্রায় ৭০০ পিস শুকনো রাবার সিট লুট করে নিয়ে যায়, যার আনুমানিক মূল্য ৮৭ হাজার টাকা। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

এর মাত্র দুই সপ্তাহ পর, ২৮ নভেম্বর আবারও একই কায়দায় ৯১০ পিস শুকনো রাবার লুট করা হয়—যার বাজারমূল্য প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। লুটের সময় বাগানের কর্মচারীদের প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সেদিনই জহির কোম্পানির ম্যানেজার কফিল উদ্দিন বাদী হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় আবু তালেব (কালিরছড়া, ঈদগাঁও), আবদুর রহমান গুরা মিয়া (খুটাখালী, চকরিয়া), মনজুর আলম (ধুইল্লাজিরি, আলীক্যাং)সহ চারজনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগ দেওয়ার পর উত্তেজনা আরও বাড়ে। স্থানীয়ভাবে অভিযোগ ওঠে—বিবাদীপক্ষের লোকজন পুনরায় বাগানে হানা দিয়ে পাহারাদার আবু বক্করকে মারধর করে প্রকাশ্যে বেঁধে রাখে। আবু বক্কর জানান, “আমাকে মারধর করে বেঁধে রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় আর চাকরি করা সম্ভব নয়।”

অভিযুক্তদের একজন আবদুর রহমান গুরা মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, “আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। মারধরের ঘটনাও মিথ্যা।”

রাবার বাগানের মালিক জহির আলম বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বাগানটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। দুই দফায় রাবার লুটও করেছে। আইনের আওতায় এনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।”

ঘটনার পর বাগান কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের মতে, দ্রুত তদন্ত ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।

Post a Comment

0 Comments