বৃহস্পতিবার ২৭ নভেম্বর ভোরে সেন্টমার্টিনের ছেড়াদিয়া পূর্বের সমুদ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ট্রলার দুটি মালিক সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা মো. ইলিয়াস ও নুর মোহাম্মদ। নুর মোহাম্মদ জানান, ২৬ নভেম্বর রাতে তাদের ট্রলার মাছ শিকারে যায় এবং বোটের ইঞ্জিন বিকল হওয়ার কারণে ২৭ তারিখ ভোরে আরাকান আর্মির সদস্যরা ৬ জেলেকে আটক করে নিয়ে যায়।
মিয়ানমারভিত্তিক গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানায়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে আরাকান আর্মি তাদের উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিটের মাধ্যমে টহল জোরদার করেছে এবং বছরের শুরু থেকে ১৮৭ জন জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করেছে। এই আটককৃতদের মধ্যে বেশিরভাগকে পরে মুক্তি দেয়া হলেও এখনও অনেক জেলে তাদের হেফাজতে রয়েছে।
সেন্টমার্টিন ফিশিং ট্রলার সমবায় সমিতির সভাপতি আজিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে দেড় শতাধিক জেলেকে আটক করেছিল আরাকান আর্মি, যারা এখনও তাদের হেফাজতে রয়েছে এবং তাদের ফিরতি অনিশ্চিত।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন ঘটনার বিষয়ে বলেছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তথ্যে, গত দশ মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাফ নদী ও আশপাশের এলাকা থেকে প্রায় ৩৫০ জেলেকে আরাকান আর্মি আটক করেছে, যার মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে ফেরত আনা হয়েছে। তবে এখনও প্রায় ১৫০ জেলে তাদের হেফাজতে রয়েছে, যা সাগরে মাছ শিকারে ভয় তৈরি করেছে।
0 Comments