হিরাম কক্স বাংলোয় ইতিহাসের টানে ভিড়

সংস্কার ও নামকরণ হওয়ার পর হিরাম কক্সের ঐতিহাসিক বাংলোয় দর্শনার্থীর ভিড় চোখে পড়ার মতো বেড়েছে বলে জানান প্রহরী বদিউল আলম।

চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা কয়েকজন তরুণ বলেন, তারা মূলত ইতিহাস জানতে এসেছেন। তাদের মতে, ‘এত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান সম্পর্কে আগে জানা ছিল না। এখানে দাঁড়ালে মনে হয় সময় যেন পিছিয়ে যাচ্ছে।’

স্থানীয় শিক্ষক শহিদুল্লাহ জানান, ‘এই বাংলোয় হিরাম কক্স বহুদিন বসবাস করেছেন। কিন্তু সেই ইতিহাস আড়ালেই ছিল। নতুন প্রজন্ম এখন তা জানতে পারছে—এটাই বড় অর্জন।’

ইতিহাসের পথে হাঁটতে চাইলে…

রামু চৌমুহনী স্টেশন থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দক্ষিণে রামু–মরিচ্যা আরাকান সড়কের পশ্চিম পাশে নজর কাড়ে বাংলোটি। গাছপালার আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়িটি যেন স্থির সময়ের স্মৃতি বহন করে। ক্যাপ্টেন কক্সের স্মৃতি, ব্রিটিশ আমলের স্থাপত্যশৈলী এবং আরাকান শরণার্থীদের সহায়তার ইতিহাস—সব মিলিয়ে বাংলোটি কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থানে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয়দের মতে, কক্সবাজার মানেই সমুদ্র—এমন ধারণার বাইরে এই বাংলোবাড়ি শহরের বিস্তৃত ইতিহাস তুলে ধরছে। দীর্ঘদিন লুকানো থাকা এক অধ্যায়কে নতুন পরিচয়ে প্রকাশ করছে বাংলোটি। সংস্কারের পর এটি যেন নিজের পরিচয় ফিরে পেয়েছে। এখন সময়ই বলবে পর্যটন মানচিত্রে এই বাড়ি কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।

জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘হিরাম কক্সের অবদানেই কক্সবাজারের নামকরণ। বাংলোটিকে ইতিহাসের অংশ হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে—এটি জেলার ঐতিহ্যে নতুন সংযোজন।’

Post a Comment

0 Comments