কক্সবাজারের চকরিয়ায় নেমে এসেছে শীতের আগমনী বার্তা। কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে মাঠ-ঘাট, আর সেই মাঠজুড়ে এখন ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, টমেটো, লাউ, সিম, করলা, বেগুনসহ নানা শীতকালীন সবজির চাষাবাদ চলছে। ফলে বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে।
তবে সরবরাহ বৃদ্ধির পরও দাম কমেনি; বরং গত এক সপ্তাহে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিপ্রতি ১০–২০ টাকা বেড়েছে। চকরিয়া পৌর শহরের সবজি বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুমি প্রাচুর্য থাকলেও বাজারে এখনো মূল্য-চাপ অব্যাহত।
বর্তমান দরে শিম ১২০–১৩০ টাকা, টমেটো ১২০–১৩০, গাজর ১৩০–১৪০, মুলা ৫৫–৬০, করলা ৮০–৯০, কাঁচা মরিচ ১৬০–১৮০, শসা ৫০–৫৫, পেঁপে ৩০–৩৫, ধনিয়া পাতা ১৯০–২০০, চিচিঙ্গা ৫০–৫৫, বরবটি ৫০–৬০, ফুলকপি ৭০–৮০, বাঁধাকপি ৫০–৬০, বেগুন ৮০–৯০ এবং লাউ ৫০–৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি লেবু ২০–৩০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৪০–৫০ টাকা এবং একটি চাল কুমড়া ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ থাকলেও দাম কমছে না। রেজাউদ্দৌলা জানান, “সরবরাহ বাড়লেও দাম নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে।” ক্রেতা লিয়াকত আলী বলেন, “ভরা মৌসুমে দাম কমার কথা, কিন্তু বাজারে তার উল্টো চিত্র।” গৃহিণী নাছিমা আক্তারের ভাষায়, “সবজি প্রচুর, কিন্তু দাম কমছে না—এতে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।” অটোরিকশা চালক নুরুল হকও জানান, চাহিদামতো সবজি কিনতে পারছেন না।
সবজি ব্যবসায়ী বশির উদ্দিন আশা প্রকাশ করে বলেন, “শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। সরবরাহ আরও বাড়লে দাম কমে আসবে।”
0 Comments