পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন সৈয়দ নুরকে অপহরণ করে। পরদিন তার স্ত্রী জোবাইদা বেগম নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলা গ্রহণের পর নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ ও বিজিবির যৌথ অভিযানে ২১ জুলাই সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আজুখাইয়া এলাকার দুর্গম পাহাড় থেকে সৈয়দ নুরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মামলার ভিত্তিতে সোমবার বিকেল থেকে রাতভর অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো—
ইসমাইল (২৬), পিতা অছিউর রহমান, গ্রাম আজুখাইয়া, ঘুমধুম, নাইক্ষ্যংছড়ি
রহমত উল্লাহ, পিতা অলী উল্লাহ, রোহিঙ্গা নাগরিক
আলী হোসেন মুনিয়া, রোহিঙ্গা নাগরিক
এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকা থেকে জব্দ করা হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মাসরুরুল হক বলেন,
> “পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সৈয়দ নুরকে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে গলায় গামটেপ পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।”
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্ট অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অপহরণ, চাঁদাবাজি, মাদক এবং সহিংসতা—সবকিছুর সঙ্গেই রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্টতা থাকায় পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
0 Comments