হুমায়রা ছিল রানা ও তাঁর স্ত্রীর একমাত্র সন্তান। পরিবারটি উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে বাস করত। শিক্ষকতা পেশায় থাকা রানা তার মেয়েকে নিজের স্কুলেই ভর্তি করেছিলেন, যেন প্রতিদিন চোখের সামনে রাখতে পারেন। কিন্তু সেই স্কুলেই আগুন হয়ে ঝরে গেল তাঁর প্রাণপ্রিয় মেয়ে।
হুমায়রার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হতেয়া কেরানীপাড়া এলাকায়। নিহতের চাচাতো ভাই কাউসার আহমেদ জানান, মরদেহ গ্রহণের জন্য পরিবারের একাধিক সদস্য ঢাকায় অবস্থান করছেন।
স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক সুজন বলেন, “ছুটি পেলেই দেলোয়ার হোসেন স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে গ্রামে আসতেন। হুমায়রার মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।”
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় হতেয়া কেরানীপাড়া গাবলের বাজার মাঠে হুমায়রার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এই ট্র্যাজেডি কেবল একটি পরিবারের নয়—এটি গোটা জাতির হৃদয়ে গভীর ক্ষত হয়ে রইলো।
0 Comments