বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের ধাক্কায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনটি আজ কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এই ভবনেই তৃতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান হতো। এখন পুরো এলাকাটি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিমানবাহিনীর সদস্যরা ধ্বংসাবশেষ সরানো ও অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছেন।
তবে শুধু ধ্বংস নয়—আজকের সকালটিতে যুক্ত হয়েছে প্রতিরোধের ডাক। সকাল ৯টায় স্কুলের সামনেই বিক্ষোভে নামে শিক্ষার্থীরা। নিহতদের সম্মান ও আহতদের তথ্য সঠিকভাবে জানার দাবিতে তারা ছয় দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো—
১. নিহতদের সঠিক নাম ও তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
২. আহতদের সম্পূর্ণ ও নির্ভুল তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
৩. শিক্ষকদের গায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাত তোলার ঘটনায় জনসমক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
৪. নিহত প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫. বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরনো প্লেনগুলো বাতিল করে আধুনিক প্লেন চালু করতে হবে।
৬. বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিবর্তন করে আরও মানবিক ও নিরাপদ ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
এই দাবি নিয়ে স্কুলের সামনে এখনো জড়ো আছেন শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। অন্যদিকে, স্বজনহারানো পরিবারগুলো এখনো অপেক্ষায়—একটি সঠিক নাম, একটি মরদেহ, কিংবা একটি নিশ্চয়তা খুঁজে পাওয়ার আশায়।
উত্তরার মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি এখন আর শুধুই দুর্ঘটনা নয়, এটি হয়ে উঠছে রাষ্ট্রীয় জবাবদিহিতা ও নিরাপত্তা সংস্কৃতির বড় এক প্রশ্নচিহ্ন।
0 Comments