এই হামলার ঘটনা ঘটে গত বৃহস্পতিবার বিকালে, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পাড়া এলাকায়। এতে গুরুতর আহত হন ছৈয়দ আলমের স্ত্রী আয়েশা বেগম ও তাদের ছেলে নুর মোহাম্মদ। বর্তমানে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
আহত নুর মোহাম্মদের অভিযোগ, তারা ৬০ বছর ধরে ওই জমিতে বসবাস করছেন। কিছুদিন আগে স্থানীয় জেবুন্নাহার নামে এক নারী দাবি করেন, ওই জমিতে তার অংশ রয়েছে। পরে নুর মোহাম্মদের পরিবার চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই অংশ কিনে নেয়।
কিন্তু পার্শ্ববর্তী আবু তাহের দাবি করেন, ওই জমি তিনি কিনেছেন। এরপর থেকেই তিনি বারবার জমি দখলের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার আবু তাহের, তার দুই ছেলে জামাল ও জমিরসহ আরও কয়েকজন মিলে সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়ি দখলের চেষ্টা চালান। স্থানীয় ইউপি সদস্য জমি পরিমাপের জন্য সার্ভেয়ার আনলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালান।
নুর মোহাম্মদ বলেন, “আয়াত উল্লাহ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং গালে থাপ্পড় মারে। আমি দৌড়ে পালিয়ে বাড়ির ভিতরে গেলে তারা আমাকে টেনে বের করে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। আমার মা আমাকে বাঁচাতে এলে তাকেও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।”
হামলার ভিডিওতে দেখা যায়, আবু তাহের ও তার ছেলেরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে একজন মহিলাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দিচ্ছে।
এই ঘটনায় নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় আবু তাহের, তার দুই ছেলে ও আরও ছয়জনসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
স্থানীয়রা বলছেন, প্রকাশ্যে এমন নৃশংস হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। দ্রুত বিচার না হলে দখলদারির নামে আরও সহিংসতার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
0 Comments