প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার মুহূর্তে মেহেরীন চৌধুরী ছুটে গিয়ে একাই ১৫-২০ জন শিক্ষার্থীকে ক্লাসরুম থেকে বের করে আনেন। তিনি যখন শিক্ষার্থীদের বের করে আনছেন, তখন আগুনে তাঁর পুরো শরীর দগ্ধ হয়। এরপর নিজের প্রাণও বাঁচাতে পারেননি এই জীবনদায়ী শিক্ষিকা।
তাঁকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, তাঁর শরীরের শতভাগ পুড়ে যায়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধার হওয়া এক অভিভাবক বলেন, “সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই শিক্ষিকার কারণে ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী বেঁচে গেছে।”
এই শিক্ষিকার আত্মত্যাগ আমাদের চোখে পানি এনে দেয়, হৃদয়ে সাহস আর শ্রদ্ধার এক নতুন উদাহরণ হয়ে থাকবে। শিক্ষকতা যে শুধুই পেশা নয়, তা মেহেরীন চৌধুরী তাঁর জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেলেন।
0 Comments