পূর্বাচল প্লট কেলেঙ্কারিতে শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে ৬ মামলা, অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩১ জুলাই

সিবি ডেক্স: পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ছয়টি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।

এই ছয়টি মামলার শুনানি হবে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের ৪ ও ৫ নম্বর আদালতে।
বিশেষ জজ-৪ নম্বর আদালতে বিচার হবে:

শেখ হাসিনা-শেখ রেহানাসহ ১৭ জন

শেখ হাসিনা-আজমিনা সিদ্দিকসহ ১৮ জন

শেখ হাসিনা-রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ ১৮ জন


বিশেষ জজ-৫ নম্বর আদালতে বিচার হবে:

শেখ হাসিনাসহ ১২ জন

শেখ হাসিনা-সজীব ওয়াজেদসহ ১৭ জন

শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জন


মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে ২০ জুলাই ছিল মামলাগুলোর শুনানির দিন। কিন্তু আসামিরা কেউ আদালতে হাজির না হওয়ায়, ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব মামলাগুলো বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।

মামলাগুলো চলতি বছরের ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে দায়ের করেন দুদকের তিন কর্মকর্তা—

উপপরিচালক সালাহউদ্দিন

সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া

সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান

তদন্ত শেষে ১০ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

➤ ১২ জানুয়ারি: প্রথম মামলায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার বোন পুতুলসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। তদন্তে আরও ২ জন যুক্ত হয়ে মোট আসামি হন ১৮ জন।
➤ ১৩ জানুয়ারি: তিনটি মামলা দায়ের হয়—

শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সালাহউদ্দিন। চার্জশিটে আসামি হন ১৭ জন।

আজমিনা সিদ্দিককে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে মোট আসামি ১৮ জন।

রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্তে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চূড়ান্ত আসামি ১৮ জন।
➤ ১৪ জানুয়ারি:

এক মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়; চার্জশিটে আসামি সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ জন।

অন্য মামলায় শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়; তদন্ত শেষে মোট আসামি হন ১৭ জন।

মোট ৬ মামলায় ১০০ জন আসামি করা হয়েছে। প্রত্যেক মামলায় শেখ হাসিনার নাম রয়েছে, যা এই মামলাগুলিকে রাজনৈতিক ও আইনি উভয় দিক থেকেই ব্যাপক গুরুত্ববহ করে তুলেছে।

এই মামলাগুলোর শুনানি যদি নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলে, তাহলে তা হবে বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে সবচেয়ে উচ্চপর্যায়ের বিচারিক প্রক্রিয়া।

Post a Comment

0 Comments