দীর্ঘ নয় মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনের সরাসরি জাহাজ চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে তিনটি জাহাজে মোট ১ হাজার ১৭৪ জন পর্যটক দ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে জাহাজগুলো সেন্টমার্টিনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
প্রথম দিনেই নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। অনলাইনে আবশ্যিক নিবন্ধন ছাড়া টিকিট বিক্রির কারণে ‘কেয়ারি সিন্দাবাদ’ জাহাজকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। সকাল থেকেই জেটিঘাট এলাকায় জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা অবস্থান নিয়ে সরকারের দেওয়া ১২ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন তদারকি করেন।
পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে প্রতিটি পর্যটককে বিনামূল্যে অ্যালুমিনিয়ামের পানির বোতল দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক কমাতে এটি নতুন মৌসুমের বাধ্যতামূলক ব্যবস্থার অংশ।
‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন বাহাদুর জানান, প্রথম দিন তিন জাহাজে মিলিয়ে ১১৭৪ জন পর্যটক দ্বীপে গেছেন। জেলা প্রশাসনের তদারকি কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর ইউএনও নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক দ্বীপে যাতায়াত করতে পারবেন, আর প্রশাসন কঠোর নজরদারিতে রয়েছে।
আজ থেকেই সেন্টমার্টিনে রাতযাপনের সুযোগ কার্যকর হয়েছে। প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি পর্যটক যেতে পারবেন না। কক্সবাজার থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টায় জাহাজ যাবে এবং পরদিন বিকেল ৩টায় সেন্টমার্টিন থেকে ফিরে আসবে। এই সুযোগ চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে সেন্টমার্টিনকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি দ্বীপসংলগ্ন ১,৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
0 Comments