হলুদকে প্রাকৃতিক চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বেশিরভাগ মানুষই দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করেন। রান্না, হারবাল ড্রিংক কিংবা স্বাস্থ্যসাপ্লিমেন্ট—সব জায়গায় দ্রুতই বেড়েছে হলুদের জনপ্রিয়তা। এর সক্রিয় উপাদান কারকিউমিন অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য স্বাস্থ্যের উপকারে আসে বলে বহু গবেষণায় উঠে এসেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন—খাদ্যমানের সীমা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় হলুদ বা উচ্চ ঘনমাত্রার কারকিউমিন গ্রহণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষত যারা সাপ্লিমেন্ট বা কনসেন্ট্রেটেড পাউডারের ওপর নির্ভর করেন, তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি আরও বেশি।
অতিরিক্ত কারকিউমিন দীর্ঘমেয়াদে লিভারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, রক্ত তরল করার ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে এবং গ্যাস্ট্রিক, বমি, ডায়েরিয়া ও হরমোন-সম্পর্কিত সমস্যাও বাড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যেসব মানুষ আগে থেকেই ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, থাইরয়েড সমস্যা বা ব্লাড থিনার জাতীয় ওষুধ সেবন করেন—তাদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি জটিল হয়ে উঠতে পারে।
তাই যে কোনো সাপ্লিমেন্টের মতো উচ্চমাত্রার হলুদ গ্রহণের ক্ষেত্রেও সচেতনতা জরুরি। প্রাকৃতিক ভাবেই উপকারী হলেও “অতিরিক্ত নিরাপদ”—এই ধারণা ভুল, এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বেশি মাত্রায় গ্রহণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
0 Comments