নিহত মাহিন স্থানীয় মোহাম্মদ তালুকদার বাড়ির বাসিন্দা ও খুদে দোকানি মোহাম্মদ লোকমানের ছেলে। দুই ভাইবোনের মধ্যে মাহিন ছিল ছোট।
পরিবারের দাবি, কক্সবাজার ভ্রমণ শেষে মাহিন তার দুই বন্ধু মানিক ও রাহাতকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফিরছিল। ভোরে এলাকায় পৌঁছালে কিছু প্রতিবেশী তাদের চোর আখ্যা দিয়ে ধাওয়া করে। পরে নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে তিন কিশোরকে চেঙ্গারমুখ ব্রিজ এলাকায় রশি দিয়ে বেঁধে একটানা কয়েক ঘণ্টা ধরে পেটানো হয়। এতে গুরুতর আহত হয়ে মাহিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অন্য দুই কিশোরকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাহিনের বাবা লোকমান অভিযোগ করে বলেন, “আমার ছেলেসহ ওর দুই বন্ধুকে ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত একটানা পেটানো হয়। ছেলে পানি চাইলেও তাকে পানি দেয়নি খুনিরা। আমি ছেলেকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও পেটায়। চোখের সামনেই ছেলেটার মৃত্যু হয়েছে।”
ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার রাতে স্থানীয় ভোলা গাজী জামে মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে মাহিনকে দাফন করা হয়। জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
এ ঘটনায় মাহিনের মা খাদিজা বেগম বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ ইতোমধ্যেই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ফটিকছড়ি থানার ওসি নুর আহমদ বলেন, ঘটনার পর হতাহতদের উদ্ধার ও তাৎক্ষণিক দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। “দোষীরা কেউ পার পাবে না।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, “রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে আছে। মব সৃষ্টি করে কেউ পার পাবে না।”
0 Comments