বিবিসি জানিয়েছে, এই বিস্ফোরক অভিযোগের পর রাজ্যে ব্যাপক রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়। সরকার ইতোমধ্যেই একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করেছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে।
তবে আটক ব্যক্তি জানান, তিনি ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মন্দিরে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছিলেন। সেই সময়ে পাঁচটি ঘটনার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে, যেখানে নাবালিকাসহ বহু নারীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। মৃতদেহগুলো কবর দিতে তাঁকে বাধ্য করা হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করার সময় প্রমাণ হিসেবে একটি মানুষের খুলি দেখিয়েছেন তিনি।
এসআইটির সূত্র জানায়, প্রাথমিক তদন্তে ১৩টি স্থানের মধ্যে দুটি জায়গা থেকে মানুষের দেহাবশেষ, মাথার খুলি ও শতাধিক হাড়ের টুকরো উদ্ধার হয়েছে। ফরেনসিক পরীক্ষায় সেগুলোর সত্যতা যাচাই চলছে।
অভিযোগের পর মন্দিরের বংশগত প্রশাসক ও সংসদ সদস্য বীরেন্দ্র হেগড়ে দাবি করেছেন, অভিযোগগুলো “অসম্ভব” এবং “ভিত্তিহীন”। তবে তিনি তদন্ত প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ঘটনাটি রাজনৈতিক বিতর্কও উসকে দিয়েছে। বিজেপি এটিকে “ভক্তদের ধর্মীয় স্থানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার” বলে অভিহিত করেছে। অন্যদিকে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার বলছে, সত্য প্রকাশ পেলেই ধর্মস্থলের মর্যাদা আরও সুদৃঢ় হবে বা অন্যথায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।
0 Comments