জুলাই আলো, স্বৈরাচার রুখতে ঐক্য ডাক!

ঢাকা, ৪ আগস্ট — “জুলাই আমাদের নতুন করে আশার আলো”—এভাবে শুরু করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আগামীকাল ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, হাজারও শহীদের আত্মত্যাগে পাওয়া রাষ্ট্র সংস্কারের সুযোগ যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “পতিত স্বৈরাচার ও তার স্বার্থলোভী গোষ্ঠী এখনও দেশকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হবে।”

তিনি এও বলেন, এক বছর আগে ৫ আগস্ট, দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটে। “বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন ৫ আগস্ট। এই দিনে পূর্ণতা পায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান— যা ছিল আপামর জনতার মুখবন্ধ আন্দোলনের ফসল।”

তিনি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করেন শহীদ তরুণ, শ্রমিক, দিনমজুর ও পেশাজীবীদের, যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন। স্মরণ করেন আহত ও পঙ্গু হয়ে যাওয়া জুলাই যোদ্ধাদেরও।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ছিল একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।” অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি খাতে সংস্কার চালানো হচ্ছে।

তিনি জানান, জুলাই গণহত্যার বিচার দ্রুত এগোচ্ছে, শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং আহত যোদ্ধাদের পুনর্বাসন কার্যক্রমও চালু আছে।

অধ্যাপক ইউনূস জানান, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও টেকসই রাজনৈতিক সমাধানে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চলছে। “শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে রাষ্ট্রের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।”

এই বাণীর মাধ্যমে তিনি সকল নাগরিককে উদাত্ত আহ্বান জানান— আসুন, আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে আর কোনো স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না।

Post a Comment

0 Comments