শুক্রবার (২২ আগস্ট) ভোরে হাজতখানায় দুর্জয় চৌধুরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ দাবি করেছে, দুর্জয় আত্মহত্যা করেছেন। তবে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন—চেক জালিয়াতির অভিযোগে আটক দুর্জয়কে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে স্বজন ও স্থানীয়রা থানার সামনে বিক্ষোভ করে ওসি শফিকুলসহ সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করেন।
দুর্জয় চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী এলাকার বাসিন্দা কমল চৌধুরীর ছেলে। তিনি চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানমের দেওয়া মামলার পর পুলিশ তাকে আটক করে।
ঘটনার পর কক্সবাজার জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ওসি শফিকুলকে বদলির নির্দেশ দিয়েছে। নতুন ওসি হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন তৌহিদুল আনোয়ার।
স্থানীয়রা বলছেন, এ ধরনের মৃত্যু শুধু থানার ভাবমূর্তিই ক্ষুণ্ণ করছে না, বরং মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে। তারা দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
0 Comments