সর্বশেষ শিকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী (ছদ্মনাম)। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার চার বছর পর গত ২১ মার্চ তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন সানজিদাকে। বিয়ের মাত্র তিন মাসের মাথায়, এক সন্ধ্যায় ঘরে থাকা প্রায় ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান স্মৃতি। পরে মোবাইলে পাঠিয়ে দেন ডিভোর্স লেটার।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আলী জানান, “বিয়ের কোনো ইচ্ছা ছিল না। ভাইয়ের চাপে রাজি হয়েছিলাম। এখন সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসার উপক্রম।” জানা যায়, এই ১০ লাখ টাকা ছিল ঋণ নেওয়া অর্থ, যা তিনি বাড়ি বন্ধক রেখে জোগাড় করেছিলেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় করা মামলার পর তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় সানজিদা ও তার মাকে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দীন কবীর জুয়েল জানান, “স্মৃতির লক্ষ্য কখনোই সংসার করা নয়, বরং বিয়ে করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই তার কৌশল। আগের তিন স্বামীর সাথেও একই প্রতারণা করেছেন।”
পুলিশ আরও জানায়, সাম্প্রতিক বিয়ের ঘটনায় চুরি করা অর্থে রংপুরে নতুন বাড়ি নির্মাণ শুরু করেন স্মৃতি, আর তার মা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার!
এই ঘটনায় সমাজে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পুলিশের পরামর্শ—বিয়ের আগে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই না করলে কেউই এমন প্রতারণা থেকে নিরাপদ নয়।
0 Comments