ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ আলবীরাকে দেখতে এসে এসব জানালেন তাদের জেঠাতো বোনের জামাই আব্দুল মাজেদ। তিনি জানান, ১০ বছরের রুবাইদা নূর আলবীরা কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জসিম উদ্দিনের মেয়ে। মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী আলবীরা পরিবারের চার ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট বোন।
দুর্ঘটনার দিন আলবীরার মা ও দুই ভাই ছিলেন কক্সবাজারে। তাই দুই বোনই একসঙ্গে স্কুলে যায়। দুপুর ১২টার দিকে মা ও ভাইয়েরা ঢাকা ফেরার অল্প সময় পরই ঘটে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। আব্দুল মাজেদ বলেন, সেদিন আলবীরা নিজের বুদ্ধিতে এক সিনিয়র ভাইকে বলেছিল, “ভাইয়া, আমাকে একটু ধরো।” সেই ভাই তাকে নিয়ে বেরিয়ে যান এবং বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে না পেরে শেষমেশ বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
বর্তমানে আলবীরার অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তাকে আবারও ড্রেসিং করানো হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর ফেসবুকের মাধ্যমে মেয়ের ছবি দেখে শনাক্ত করেন মা–বাবা। দগ্ধ শরীরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে ছোট্ট আলবীরা, আর অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাওয়া বড় বোন জাহারা বয়ে বেড়াচ্ছেন বোন হারানোর শঙ্কা।
0 Comments