ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আটটি ইউনিট প্রায় নিরবচ্ছিন্নভাবে উদ্ধার অভিযান চালায়। গর্তটি সংকীর্ণ ও গভীর হওয়ায় উদ্ধার কাজে প্রয়োজন ছিল সমান্তরাল গর্ত খনন এবং সাবধানে মাটি অপসারণের। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে শিশুটিকে অবস্থান করে ওপরের দিকে তোলা সম্ভব হয়।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা খান জানান, উদ্ধার করার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়, কিন্তু পৌঁছানোর পর চিকিৎসকের পরীক্ষায় জানা যায়—শিশুর দেহে কোনো প্রাণের সাড়া নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে মাটি বোঝাই একটি ট্রলি হঠাৎ দেবে গেলে সেটি দেখতে যান রাকিব ও তার স্ত্রী। তাদের দুই বছরের ছেলে সাজিদ মায়ের কোলে থেকে নেমে মাঠে হাঁটতে হাঁটতে পরিত্যক্ত নলকূপের গভীর গর্তে পড়ে যায়। নিচ থেকে কিছু শব্দ পেলেও অন্ধকার গভীরতার কারণে শিশুটিকে দেখা বা পৌঁছানো সম্ভব ছিল না।
৩২ ঘণ্টার এই দীর্ঘ উদ্ধার অভিযান শেষমেশ দুঃসংবাদেই থামল—হাসপাতালে চিকিৎসক ঘোষণা দিলেন শিশুটি আর বেঁচে নেই।
0 Comments