জানা যায়, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের শাহ আমানত সেতু এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর ঘাতক বাসটি পুলিশ জব্দ করে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদুল আলম প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে খাতুনগঞ্জের নবী মার্কেট এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মোটরসাইকেলযোগে পটিয়ার হরিণখাইন গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে কক্সবাজারমুখী হানিফ পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাস তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কর্ণফুলী থানার ওসি জয়নাল আবেদীন জানান, বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক ফরিদুল আলমের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক বাসটি জব্দ করে এবং এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে নিহত ফরিদুল আলমের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে হরিণখাইন গ্রামে হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্বজনদের কান্না ও আহাজারিতে এলাকা ভারী হয়ে ওঠে। পরে এশার নামাজের পর উত্তর হরিণখাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহতের চাচাত ভাই ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহসভাপতি রবিউল হোসেন বাদশা জানান, ফরিদুল আলম তিন সন্তানের জনক। তার সন্তানদের বয়স যথাক্রমে ১১, ৮ ও ২ বছর। খাতুনগঞ্জের নবী মার্কেটে একটি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করতেন তিনি এবং প্রতিদিন মোটরসাইকেলে শহর থেকে বাড়ি যাতায়াত করতেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে স্বজনরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
0 Comments