ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাকিবুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন যে রাত ৯টা ৫ মিনিটে শিশুটিকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে শিশুটির শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
তানোর থানার ওসি মো. শাহীনুজ্জামান জানান, উদ্ধার হওয়া সাজিদকে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের রিপোর্টের পর তার অবস্থা জানা যাবে।
এর আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা শিশুটির অবস্থান নিশ্চিত করতে না পেরে পাশেই ৫৫ ফুট গভীর সমান্তরাল গর্ত খনন করেন। আটটি ইউনিট মাঠে নামিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে কোয়েল হাট পূর্ব পাড়ায় একটি ট্রলি দেবে যাওয়ার পর সৃষ্ট গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। মা রুনা খাতুন প্রথমে বুঝতে না পারলেও কিছুক্ষণ পর নিচ থেকে ছেলের ‘মা’ ডাক শুনে বিষয়টি নিশ্চিত হন।
এই দীর্ঘ উদ্ধার অভিযান শেষমেশ সফল হয়েছে, তবে পুরো গ্রামজুড়ে ছিল দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা আর অপেক্ষার দীর্ঘ সময়।
0 Comments