কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। পুরো জেলা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে।
স্থানীয় কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৬টায় জেলার রাজারহাট এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর থেকেই কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌপথে চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।
শীতের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ ও নিম্নআয়ের পরিবারগুলো। অনেকেই প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে কাজে যেতে পারছেন না। শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় শীতার্ত দরিদ্র মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে, তবে পর্যাপ্ত সহায়তা এখনও পৌঁছায়নি। ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক রহমান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে সকালে জমিতে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে, হাত-পা অবশ হয়ে আসে। নুনখাওয়া ইউনিয়নের দিনমজুর বাচ্চু মিয়া জানান, ঠান্ডার কারণে সকালে কাজে যেতে পারেননি।
জেলা কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আগামী কয়েকদিন শীত ও কুয়াশার প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
0 Comments