প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জুয়েল হাসান ডায়মন ম্যালামাইন কোম্পানির কাজে উখিয়ার কুতুপালংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন। দুপুরের পর থেকে তার মুঠোফোনে কোনো সংযোগ পাওয়া যায়নি এবং সেদিন রাতেও তিনি বাড়ি ফেরেননি।
জুয়েল হাসান গাজীপুর জেলার পশ্চিম টংগী থানাধীন নাগর আলীর বাড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. দেলোয়ার শেখের ছেলে। বর্তমানে তিনি রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কাইম্যারঘোনা এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করছিলেন।
নিখোঁজের বিষয়ে তার স্ত্রী নুসরাত জাহান (২২) রামু থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, জুয়েল সাংবাদিকতার পাশাপাশি ডায়মন ম্যালামাইন কোম্পানির কক্সবাজার জোনে সেলস অফিসার হিসেবেও কাজ করছেন।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, ২৫ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে জুয়েল উখিয়া কুতুপালং ও ফালংখালী এলাকায় যাওয়ার কথা বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি বাড়িতে ফেরেননি। আত্মীয়স্বজন ও সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ জুয়েল হাসানের শারীরিক বর্ণনা অনুযায়ী, উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি, গায়ের রং শ্যামলা, মুখমণ্ডল লম্বাটে, মাথার চুল প্রায় ২ ইঞ্চি লম্বা। নিখোঁজের সময় তার পরনে ছিল সাই রঙের জ্যাকেট, নীল চেক শার্ট ও গ্যাবাডিন প্যান্ট। তিনি ঢাকার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন।
রামু থানা পুলিশ জানায়, সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করা হয়েছে এবং নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
0 Comments