ওসমান হাদি হামলা: ঐক্যের ডাক তারেকের

রাজধানীর বিজয়নগরে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, দেশ এখন চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এবং এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী সব দল ও ব্যক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তারেক রহমান এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, গত এক বছরে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের সদস্যরা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে যে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন তারা হতে দেবে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে। তারেক রহমান অভিযোগ করেন, একটি গোষ্ঠী দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা বিনষ্টের জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে, এবং ওসমান হাদির ওপর হামলা তারই অংশ।

তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, সম্প্রতি চট্টগ্রামেও একইভাবে বিএনপির এক প্রার্থীকে গুলি করা হয়। এসব ঘটনা প্রমাণ করে—জাতীয়তাবাদী শক্তির সর্বোচ্চ ঐক্যের প্রয়োজন এখন সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী সব দল ও মানুষকে রাজনৈতিক পরিচয়ের উর্ধ্বে উঠে একসঙ্গে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে তারেক রহমান বলেন, কেউ যেন ভুল তথ্য ছড়ানোর সুযোগ না পায়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তিনি জানান, প্রশাসন চাইলে ওসমান হাদির ওপর হামলার তদন্তে বিএনপি সহযোগিতা করবে এবং প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।

ছাত্রদল নেতাদের উদ্দেশে তিনি অন্যায় ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিবাদ সংগঠিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের মানুষ যাতে তাদের হারানো অধিকার ফিরে পায়, সে জন্য সতর্ক ও সক্রিয় থাকতে হবে।

Post a Comment

0 Comments