মুফতি মহিবুল্লাহ জানান, বুধবার ফজরের নামাজের পরে হাঁটতে বের হলে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে পাঁচজন তাকে তুলে নিয়ে যায়, মুখে কাপড় চাপা দেয় এবং পরে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। তিনি দাবি করেন যে কয়েক মাস ধরে তাকে একাধিক চিঠি দিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। অপহরণকারীরা তাকে ইসকনের পক্ষ থেকে কথা বলাতে চেয়েছে, পাশাপাশি বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি ও হিন্দু-মুসলমান প্রেমসংক্রান্ত বিষয়ে মসজিদে নির্দিষ্ট বক্তব্য দেবার জন্য চাপ দিয়েছে এবং না মানলে প্রাণনাশসহ পরিবারের ক্ষতির হুমকি দেয়া হয়েছে বলে তিনি বলেছেন। মুফতি অভিযোগ করেন, অপহরণকারীরা তাকে বিবস্ত্র করে বোতল দিয়ে মারধর করেছে এবং পায়ে শিকল পরিয়ে গাছে বেঁধে রেখেছে।
টঙ্গী থানায় তার পরিবারের করা সাধারণ ডায়েরি থেকে জানা যায়, প্রায় পাঁচ মাস আগে তিনি জুমার বয়ানে ইসকনবিরোধী বক্তব্য দেন, এরপর থেকে তাকে বারংবার চিঠি ও হুমকি দেয়া হচ্ছিল। পঞ্চগড় ইসলামী আন্দোলনের সহসভাপতি ক্বারী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, অপহরণ ও নির্যাতনের বিষয়টি অত্যন্ত নিন্দনীয়; অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালে ভর্তি করে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে; মুফতির আগে থেকেই মাথার অপারেশন এবং কিডনি-ডায়াবেটিসের চিকিৎসার ইতিহাস রয়েছে। পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী জানান, ভোরে ৯৯৯ কল করে হেলিপ্যাড এলাকায় শিকলে বাঁধা এক বৃদ্ধ পাওয়া গেলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; পরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা টঙ্গী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পঞ্চগড়ে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা চূড়ান্ত শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভে অংশ নেয়া ধর্মীয় নেতারা ইসকনকে দায়ী করে বিচার ও নিরাপত্তা চেয়েছেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে এবং তদন্ত অব্যাহত আছে।
0 Comments