অভিযুক্ত কুদ্দুস মিয়া উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের জিলানীর ছেলে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩০ জুন সকালে গৃহবধূ তার ছোট বোনের ‘জিন ছাড়াতে’ কুদ্দুস কবিরাজের বাড়িতে যান। চিকিৎসার একপর্যায়ে কবিরাজ নানা কৌশলে তাকে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর ঘটনাটি ভিডিও করে রাখেন এবং পরে ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে গৃহবধূর কাছ থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ভয়ভীতি দেখিয়ে কবিরাজ দীর্ঘদিন ধরেই গৃহবধূর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। সম্প্রতি তিনি আরও টাকা দাবি করলে গৃহবধূ অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কুদ্দুস মিয়া তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে দেন।
অভিযুক্ত কুদ্দুস মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “তাদের এক মেয়ে অসুস্থ ছিল, চিকিৎসা করেছি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।”
দেবিদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন জানান, “ভুক্তভোগীর মায়ের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
0 Comments