বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, প্রতারক জাহেদুল ইসলাম 'সাহাবা হজ্ব এন্ড ট্রাভেল এজেন্সি'-এর আড়ালে হজ্বে পাঠানোর নাম করে হজযাত্রীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। ভুক্তভোগীরা নগদ এবং ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার পর হজ্বের দিন তারিখের খোঁজ নিতে গেলে সে মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যেতো। আলহাজ্ব আবুল কালাম, জয়নাল আবেদিন রিয়াজসহ একাধিক ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
র্যাব জানায়, হজ্ব ও ট্রাভেল এজেন্সির আড়ালে জাহেদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। একটি চেক প্রতারণা (এনআই অ্যাক্ট) মামলায় আদালত তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চেক প্রতারণার (এনআই অ্যাক্ট) মামলায় আদালত জাহেদুল ইসলামকে এক বছর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করে। রায় ঘোষণার পর থেকেই সে পলাতক ছিল।
কোতোয়ালী থানার ওসি আবদুল করিম জানান, র্যাব-৭গ্রেপ্তারের পর জাহেদুল ইসলামকে রাতে থানায় হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সচেতন মহল এবং একাধিক ট্রাভেল এজেন্সির কর্তৃপক্ষ এই ধরনের প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, জাহেদের মতো প্রতারকদের কারণে সৎ ব্যবসায়ীদের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং হজযাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তারা আশা প্রকাশ করেছেন যে, এই গ্রেপ্তারের ফলে ভবিষ্যতে হজ যাত্রীদের হয়রানি অনেকাংশে কমে আসবে।
0 Comments