সিবি ডেক্স: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকায় থাকলেও ডোপ টেস্টে গাঁজাসেবনের প্রমাণ মেলায় দুই প্রার্থীর নিয়োগ স্থগিত করেছে প্রশাসন।
ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়া দুই প্রার্থী হলেন গোলাম রাব্বানী ও ড. ইমরুল আসাদ। তারা লিখিত, প্রেজেন্টেশন ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কিন্তু গত ৪ আগস্ট চবি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া ডোপ টেস্টে তাদের শরীরে গাঁজা জাতীয় মাদকের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "গাঁজা জাতীয় মাদকের উপস্থিতি তাদের রিপোর্টে স্পষ্টভাবে পজিটিভ এসেছে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান স্পষ্ট:
ডোপ টেস্ট পজিটিভ হওয়ায় কোনোভাবেই এদের নিয়োগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, “শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিয়োগে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক। পজিটিভ রিপোর্ট আসলে নিয়োগ দেওয়া হবে না। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈতিকতা ও ভাবমূর্তি রক্ষা পাবে।”
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, “যেখানে ছাত্রছাত্রীদেরও ডোপ টেস্ট করানো হয়, সেখানে এমন কারও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ হওয়ার সুযোগ নেই।”
শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া:
চবির শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক ইসলাম বলেন, “শিক্ষক যদি মাদকাসক্ত হন, তাহলে জাতি গঠনে তাদের ভূমিকাই প্রশ্নবিদ্ধ। মাদকাসক্তের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা সম্ভব নয়।”
0 Comments