চট্টগ্রামে ৯ নদীর পানি বাড়ছে, প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

সিবি ডেক্স: আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের নয়টি নদীর পানি সমতল বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বাপাউবো)। এতে অন্তত ছয় জেলার নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) প্রকাশিত পূর্বাভাসে বলা হয়, ফেনী, মুহুরী, সেলোনিয়া, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরি, নোয়াখালী খাল ও রহমতখালি খালের পানি সতর্কসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে। এর ফলে ফেনী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে এসব নদীর পানি কমতে পারে।

এতে আরও জানানো হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। পাশাপাশি আগামীকাল সোমবার (২৫ আগস্ট) উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে এবং ভারতের মেঘালয়, আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে, তিস্তা নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টা স্থিতিশীল থেকে পরবর্তী দুই দিন কমতে পারে। নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলায় সতর্কসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে এই নদীর পানি। ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী তিন দিনে কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল পরবর্তী পাঁচ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে, আর গঙ্গা-পদ্মার পানি ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে পারে। একই সময়ে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, জাদুকাটা, মনু, ধলাই ও খোয়াই নদীর পানি সমতল কমতে পারে।

এ ছাড়া বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি জোয়ার বইছে, যা আগামী তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।