পুলিশ জানায়, সামিরা একজন শিক্ষিত নারী ও পেশায় শিক্ষিকা হলেও গত ১৫ বছর ধরে তিনি বিয়ে ও প্রেমের নামে বহু ধনী পুরুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন। এর আগেও তিনি আটবার বিয়ে করেছেন এবং প্রত্যেক স্বামীকে বিয়ের পর ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এক স্বামীর কাছ থেকে তিনি ৫০ লাখ রুপি এবং আরেকজনের কাছ থেকে ১৫ লাখ রুপি আদায় করেন।
সামিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। চক্রটির সহায়তায় তিনি বিয়ের পরপরই অর্থ আদায়ের পরিকল্পনা করতেন।
তিনি মূলত বিয়ে বিষয়ক ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে তালাকপ্রাপ্ত, সন্তানসহ একজন আবেগপ্রবণ নারী হিসেবে তুলে ধরতেন এবং টার্গেট পুরুষদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন। এরপর বিয়ে এবং অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার নাটক।
পুলিশ ধারণা করছে, সামিরার মতো নারী প্রতারকের পেছনে আরও একাধিক ব্যক্তি ও নেটওয়ার্ক সক্রিয় রয়েছে। পুরো চক্রকে ধরতে তদন্ত চলছে।
0 Comments