আমিনুল, কক্সবাজার সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, শুধু অংশ নিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে। সেদিন সন্ধ্যায় লাঠিপেটা, টিয়ার গ্যাস ও ছররা গুলির মধ্যে পড়েন। ডান চোখে ছররা গুলি লেগে তা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়, আর এখন বাম চোখও ঝুঁকিতে রয়েছে।
চিকিৎসার জন্য এখন পর্যন্ত ঢাকায় চারবার অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে, খরচ হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টাকা। কিছু অর্থ সহায়তা পেলেও এখনো সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি। এমনকি সরকারিভাবে আহতদের তালিকাতেও নেই আমিনুলের নাম।
আমিনুল বলেন: “আমি রাজনীতি করিনি। শুধু একটা বৈষম্যহীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। আজ চোখ হারিয়ে কঠিন বাস্তবতার মুখে দাঁড়িয়ে আছি। যারা তখন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের কেউ আর পাশে নেই।”
তাঁর বাবা নুরুল আমিন বলেন: “ছেলের চোখ হারানো দেখে আমি ভেঙে পড়েছি। বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছি না, সরকারি সাহায্যও পাই না।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজারের আহ্বায়ক সাহেদুল ওয়াহিদ জানিয়েছেন, “আমিনুল আমাদের সঙ্গেই আন্দোলনে আহত হয়েছেন। তাঁকে সরকারি সহায়তা দিতে কেন্দ্রীয়ভাবে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”
এক চোখ হারিয়ে শিক্ষা ও জীবনের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ হারিয়ে এখন অন্ধকারের দ্বারপ্রান্তে আমিনুল। তাঁর জীবন ও চিকিৎসা বাঁচাতে এখন প্রয়োজন অবিলম্বে সরকারি এবং সামাজিক সহানুভূতি।
0 Comments