গ্রেফতারকৃতরা হলো—চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়নের আব্বাস উদ্দিন (৪২), সাকিবুল ইসলাম (২২), ফরহাদ মিয়া (১৯), মো. রবিউল হোসেন (২৭) ও মো. তাওসিফ (১৯)। পুলিশ জানায়, এদের প্রত্যেকেই অপহরণে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাহারছড়া সৈকত কাউন্টার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও আরও কয়েকজন অপহরণকারী রাতের আঁধারে পালিয়ে যায়। অভিযানের সময় গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যে শীলখালী এলাকার একটি বসতবাড়ির ছনের স্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ১২.৪ ইঞ্চি এলজি ও তিনটি তাজা কার্তুজ।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দূর্জয় বিশ্বাস জানান, দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ১০ দিনের মাথায় তিনি এই অপহরণ চক্রকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারে সক্ষম হন। অপহৃত পাভেল চাকমা সরাসরি গ্রেফতারদের শনাক্ত করেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে জোরালো সাক্ষ্য দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোরে হোয়াইক্যং থেকে শামলাপুর যাওয়ার পথে সিএনজি চালক পাভেল চাকমাকে অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে অপহরণকারীরা তার পরিবার থেকে মুক্তিপণ হিসেবে দেড় লাখ টাকা আদায় করে।
এ ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে। সাধারণ মানুষ বাহারছড়া পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ ও সাহসী ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছে।
0 Comments