মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ভোরে ১১ বিজিবির একটি দল এ অভিযান চালায়। গ্রেপ্তার নুরুল আবছার বোমাংখিল গ্রামের বাসিন্দা ফরিদুল আলমের ছেলে। তিনি সীমান্তের কুখ্যাত মাদক ও গরু চোরাচালান চক্র ‘শাহীন বাহিনী’র অন্যতম সহযোগী এবং ‘ম্যানেজার’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন জানান, আবছার মূলত ডাকাত শাহীনের চোরাই গরুর সংরক্ষণ ও বিক্রির দায়িত্বে ছিলেন। এর আগেও ২১ জুলাই মিয়ানমার থেকে পাচারের সময় ৯,৬৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হলেও সে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় দায়ের করা মামলায় তার নাম ছিল।
তাছাড়া, ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ গর্জনিয়ায় শাহীন বাহিনীর গুলিতে নিহত হন স্থানীয় আবু তালেব নামের এক ব্যক্তি। এ হত্যাকাণ্ডেও নুরুল আবছারের সম্পৃক্ততা ছিল। তার বিরুদ্ধে আগেই মাদক, হত্যা, অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
অভিযানে জব্দকৃত দেশি অস্ত্রগুলো হলো: চারটি একনলা বন্দুক, একটি দোনলা বন্দুক। গ্রেপ্তারের পর তাকে অস্ত্রসহ রামু থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন সেনাবাহিনীর অভিযানে শাহীন বাহিনীর প্রধান যুবলীগ নেতা শাহীনুর রহমান ওরফে শাহীন ডাকাত গ্রেপ্তার হন। সে সময় তার কাছ থেকে একে-২২ রাইফেল, ২০ হাজার ইয়াবা, একাধিক বন্দুক ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। এই বাহিনীর সদস্যসংখ্যা প্রায় ৪০–৪৫ জন বলে জানা গেছে, যাদের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, মাদক এবং অর্থ রয়েছে।
0 Comments