মাছের বাজারে এই অস্বাভাবিক দামের পেছনে মূলত কিছু রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা। জানা গেছে, পর্যটনকেন্দ্রিক রেস্তোরাঁগুলোতে প্রতি পিস ইলিশ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে, যার ফলে বাজারে মাছের চাহিদা ও দাম—উভয়ই বেড়ে গেছে। এই চড়া দামের কারণে ইলিশ ও রূপচাঁদা মাছ স্থানীয় মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ফিশিং ট্রলারের জেলে মোহাম্মদ আলী বলেন, “সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানতে আমাদের কষ্ট হতো। মাছ ধরতে না পারলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যেত। তবু নির্দেশনা মেনেছি। এখন বড় বড় ইলিশ ধরা পড়ছে। আশা করি সামনে আরও বড় ইলিশ পাওয়া যাবে।”
তিনি জানান, বর্তমানে সাগরে ইলিশ ছাড়াও বড় আকারের পোপা ও গোইজ্জা (রিটা) মাছও ধরা পড়ছে।
শাহপরীর দ্বীপের আরেক মাঝি ছৈয়দুল আমিন বলেন, “সাগর থেকে বৃহস্পতিবার ঘাটে ফিরেছি। এবার পাঁচ মণ মাছ পেয়েছি, যার এক-তৃতীয়াংশই ছিল ইলিশ।”
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, “সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে জেলেরা মাছ শিকার করায় সাগরে এখন বড় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। এতে জেলে ও ট্রলার মালিক—উভয়ে উপকৃত হচ্ছেন।”
0 Comments