আইএসপিআর সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কলেজ ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে এবং মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়।
ঘটনাস্থলে তখন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি থাকায় হতাহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ে। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও বিজিবির যৌথ অভিযানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। ঘটনাস্থলের ধ্বংসস্তূপ এখনও উদ্ধার অভিযানের আওতায় রয়েছে।
আইএসপিআর আরও নিশ্চিত করেছে, দুর্ঘটনার সময় বিমানটিতে একমাত্র পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর অবস্থান করছিলেন। তাঁর অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনার রেশ কেবল সাধারণ নাগরিকের হৃদয়েই নয়, ছড়িয়ে পড়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সামাজিক মাধ্যমে।
এমনকি এই দুর্ঘটনার প্রভাব ছুঁয়ে গেছে পাকিস্তানের বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারদেরও।
পেসার হাসান আলী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন:
“ঢাকা থেকে আসা মর্মান্তিক খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এত নিষ্পাপ প্রাণ অকালে চলে গেল। আল্লাহ যেন সবাইকে ধৈর্য ধরার তাওফিক দেন।”
স্পিনার শাদাব খান লেখেন:
“বাংলাদেশে বিমান দুর্ঘটনার খবরটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং আহতদের প্রতি শুভকামনা।”
পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি লিখেছেন:
“হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক। পরিবারগুলোর জন্য প্রার্থনা করছি—আল্লাহ যেন তাদের শক্তি দেন।”
সাবেক তারকা আজহার আলী বলেন:
“আল্লাহ যেন এই কঠিন সময়ে সবাইকে শক্তি ও আরোগ্য দান করেন। আমিন।”
প্রতিটি প্রাণহানিই একটি পরিবারের পৃথিবী ধ্বংসের নামান্তর। আর এই ২৭টি মৃত্যু গোটা জাতিকে নীরব, শোকাহত ও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।
0 Comments