তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসেবে যুক্তরাজ্যের উদাহরণ দেই। সেখানে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি হয়ে থাকেন। যদিও কিছু দেশে ব্যতিক্রম আছে, সেসব ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত আসে সরকারি দলের ভেতর থেকেই। তাই আমরা মনে করি, দলীয় প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকা উচিত। আশা করি, পরবর্তী আলোচনায় এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।’
বৈঠকে মূলত নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো, গঠনপ্রণালী ও ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সালাহউদ্দিন জানান, ‘ত্রয়োদশ সংশোধনীতে যেভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলা হয়েছিল, তা কতটা পরিবর্তনসাপেক্ষ—এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব হাতে পেয়েছি, সেটি যাচাই-বাছাই করে বিএনপি তাদের মতামত জানাবে।’
ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বৈঠক শেষে জানান, সব রাজনৈতিক দলই নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে একমত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন দল যে মত দিয়েছে, তার ভিত্তিতে কমিশন নতুন একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে। এই প্রস্তাব নিয়ে আবারও আলোচনা হবে মঙ্গলবার। আশা করছি, ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে একটি সর্বজনীন ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে।’
0 Comments