স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দ্বীপের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে, এবং জিও ব্যাগ বা ব্লক ছাড়া এই ভাঙন ঠেকানো অসম্ভব। এমন চলতে থাকলে মানচিত্র থেকেই সেন্টমার্টিন দ্বীপ হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিনদিন ধরে (২৬ জুলাই পর্যন্ত) টেকনাফ–সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাত্রীবাহী ও মালবাহী সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দ্বীপে তীব্রভাবে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট।
দ্বীপের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান জানান, প্রতিবছর বর্ষায় এমন সংকট দেখা দেয়, তবে এবার পরিস্থিতি আরও খারাপ। বাজারে পণ্য প্রায় শেষ, আর কয়েকদিন চললে প্রকট খাদ্যসংকট দেখা দেবে। তিনি সরকারের প্রতি সি-ট্রাক ও সি-অ্যাম্বুলেন্স চালুর দাবি জানিয়েছেন।
সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন, সাগর উত্তাল হওয়ায় দুর্ঘটনার শঙ্কায় নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সর্বশেষ গত বুধবার তিনটি সার্ভিস ট্রলার দ্বীপে গিয়েছিল। এখন পরিবহন না থাকায় মালামাল আনা–নেওয়া বন্ধ এবং দ্বীপবাসী কর্মহীন অবস্থায় দুর্বিষহ সময় পার করছেন।
ইতিমধ্যে টেকনাফ ও কক্সবাজার শহরে আটকা পড়েছেন পারিবারিক কাজে যাওয়া দুই শতাধিক দ্বীপবাসী।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম জানিয়েছেন, জোয়ারের পানিতে চারদিকে ভাঙন ধরেছে, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে দ্বীপ রক্ষা করা কঠিন হবে।
টেকনাফের ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে, তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে তা চালু করা হবে।
0 Comments