নুরুল হক নুর জানান, নির্বাচনে জয়লাভের লক্ষ্যে রাশেদ খাঁন ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করবেন। এটি দলীয় কৌশলের অংশ হিসেবে করা হচ্ছে এবং গণঅধিকার পরিষদ থেকেই তাকে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অডিও বার্তায় নুর বলেন, ফ্যাসিবাদের উত্তাল সময়ে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদসহ প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল ও জোট এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। সেই সময় থেকেই ফ্যাসিবাদ পতনের পর রাষ্ট্র সংস্কার, একসাথে নির্বাচন এবং ভবিষ্যতে জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়ে পারস্পরিক আলোচনা ও সমঝোতা ছিল।
তিনি বলেন, বর্তমান আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আইন) অনুযায়ী জোটবদ্ধ হলেও প্রত্যেক দলকে নিজ নিজ প্রতীকে ভোট করতে হয়। ফলে সব এলাকায় সব প্রতীকে জয় পাওয়া সম্ভব হয় না। এ কারণে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের অনেকেই নির্বাচনে জেতার কৌশল হিসেবে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন।
নুরুল হক নুর আরও বলেন, আন্দোলন, সরকার গঠন এবং গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী গত দেড় বছরে সমন্বয়ের ভিত্তিতে একসাথে কাজ করার অভিজ্ঞতার আলোকে ঝিনাইদহ-৪ আসনে নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে রাশেদ খাঁনকে ধানের শীষে প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সে কারণে তিনি গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। খুব শিগগিরই দলের জন্য একজন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হবে।
0 Comments