বৈঠকের ঘোষণা দিয়ে জেলেনস্কি বলেন, নতুন বছরের আগেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নির্ধারিত হতে পারে। কারণ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ—যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত হিসেবে বিবেচিত—শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি জানান, সংবেদনশীল বিষয় হিসেবে ডনবাস অঞ্চল এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র—এই দুই ইস্যু নিয়েই আলোচনা হবে। তিনি বলেন, এসব ছাড়াও অন্যান্য বিষয় আলোচনার টেবিলে থাকবে।
রাশিয়ার অবস্থান হলো, ইউক্রেন যেন পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলের যেসব এলাকা প্রায় চার বছরের যুদ্ধে রুশ বাহিনী পুরোপুরি দখল করতে পারেনি, সেখান থেকে সরে দাঁড়ায়। এতে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক নিয়ে গঠিত ডনবাস অঞ্চলের ওপর মস্কোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত হবে। বিপরীতে কিয়েভ বর্তমান ফ্রন্টলাইন ধরে রেখেই যুদ্ধবিরতির পক্ষে।
সমঝোতার পথ খুঁজতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাব দিয়েছে, ইউক্রেন ওই এলাকা ছেড়ে দিলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা যেতে পারে। তবে বাস্তবে এমন অঞ্চল কীভাবে কার্যকর হবে, সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট ধারণা নেই।
ভূখণ্ড সংক্রান্ত এই প্রশ্নই আলোচনায় অগ্রগতির সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে আছে। জেলেনস্কি স্পষ্ট করে বলেছেন, ভূখণ্ড নিয়ে যেকোনো সমঝোতা ইউক্রেনীয় জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সম্ভাব্য গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত।
উল্লেখ্য, ইউরোপের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ফ্রন্টলাইনের কাছাকাছি অবস্থিত এবং বর্তমানে রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
0 Comments