গত শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজারহাট থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। তবে পরদিনই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তারা ছাড়া পান বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপে, বিশেষ করে মাহবুবুল আলম হানিফ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ মহলের তৎপরতায়, রবিবার ভোরে কলকাতা পুলিশ বাহার ও তার মেয়েকে মুক্তি দেয়।
ঘটনার আগে, পূর্ণিমা রানী শীল লগ্নজিতা নামে এক তরুণী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বাহাউদ্দিন বাহারের বিরুদ্ধে পোস্ট দিলে বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। তার অভিযোগ, ২০২১ সালে দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লার একটি মণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় সরাসরি বাহার জড়িত ছিলেন। সেই ঘটনার পর সারাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
তরুণীর দাবি, ওই ঘটনার পর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ নিরাপত্তাহীনতার কারণে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন, অথচ বাহার নিজে পরিবার নিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন— যিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নেপথ্যে ছিলেন, তিনি কীভাবে ভারতের মাটিতে নিরাপদে অবস্থান করছেন?
এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে গ্রেপ্তার-পরবর্তী দ্রুত মুক্তি পাওয়া নিয়ে স্থানীয় মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
0 Comments