সকাল ৯টায় শতাধিক চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারী পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়ে সড়কে কয়েক দফা বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে পটিয়া সদরের বিভিন্ন ব্যাংকের মূল ফটকে ব্যানার টানিয়ে তালা দেন। গ্রাহকরা প্রবেশ করতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যান।
আন্দোলনকারীরা চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কও অবরোধ করেন। আন্দোলনের নেতা মফিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছি। পটিয়ায় সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে। আজ বিকেল পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।”
বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, গত বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, আল–আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় সাত হাজার কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই পটিয়ার বাসিন্দা। বিনা নোটিশে ও বিনা কারণে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
পূবালী ব্যাংকের পটিয়া শাখার ব্যবস্থাপক বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, “সকালে ব্যাংকে প্রবেশের সুযোগ পাইনি আমরা। ফলে কোনো ধরনের লেনদেন সম্ভব হচ্ছে না।”
জনতা ব্যাংকের পটিয়া শাখার ম্যানেজার নাজিম উদ্দিন জানান, “শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকার পর রোববার গ্রাহকরা ব্যাংকে আসেন, কিন্তু আন্দোলনের কারণে তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে।”
পটিয়া থানার ওসি মো. নূরুজ্জামান বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
0 Comments