আহতদের মধ্যে রয়েছেন—কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের রাজারকুল রেঞ্জ কর্মকর্তা আলী নেওয়াজ, ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন হাতেম সাজ্জাদ জুলকারনাইন এবং গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মো. মোস্তাফিজুর রহমান। বর্তমানে জুলকারনাইন ও মোস্তাফিজুর রহমান রামু সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এবং আলী নেওয়াজ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
রেঞ্জ কর্মকর্তা আলী নেওয়াজ জানান, গত রোববার মিয়ানমার সীমান্তে পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে হাতিটি গুরুতর আহত হয় এবং পরে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। খবর পেয়ে শুক্রবার ১৫ সদস্যের একটি চিকিৎসক ও বনকর্মী দল আহত হাতিটির চিকিৎসায় যায়। তবে সেখানে পৌঁছানোর পর হাতিটি হঠাৎ আক্রমণ চালালে সবাই আহত হন। এমনকি হাতিটি একজনের বন্দুক কেড়ে নিয়ে বনের ভেতরে ছুড়ে ফেলে দেয়, যা পরে উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আহত হাতিটির চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। আহত বনকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েও দায়িত্ব পালন করছেন।
বন বিভাগের তথ্যমতে, বিস্ফোরণে হাতিটির সামনের ডান পা প্রায় অবশ হয়ে গেছে। পায়ের তলা ও নখ উড়ে গেছে। খুঁড়িয়ে হাঁটার পাশাপাশি যন্ত্রণায় খাবার সংগ্রহ করতেও কষ্ট হচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, হাতিটি রক্ত ও পানিশূন্যতায় ভুগছে এবং দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাকে বাঁচাতে দীর্ঘমেয়াদি নিবিড় পরিচর্যা প্রয়োজন।
নাইক্ষ্যংছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক সরকার নিশ্চিত করেছেন, মিয়ানমারের ভেতরে স্থলমাইন বিস্ফোরণে হাতিটি আহত হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
0 Comments