ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, ভূমি অফিসে সরকারি নীতিমালার বাইরে ঘুষ ছাড়া কোনো নামজারি হচ্ছে না। প্রতি নামজারিতে দাবি করা হচ্ছে ৫০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
এই ঘুষের টাকা অফিসের ভেতরে বিভিন্ন স্তরে ভাগ হয় বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারীরা।
সাধারণ জনগণ বলছেন, এ দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন অফিসের ঝাড়ুদার আরিফ, যার বেতন মাত্র ৩ হাজার টাকা। অথচ, অভিযোগ রয়েছে—তিনি অফিসে না থাকলে কোনো ফাইল নড়ে না। তার প্রভাব এতটাই বেশি যে অফিসের নিয়ন্ত্রণও যেন এখন তার হাতে।
সূত্রে জানা গেছে, আরিফের বাবা মুসলেম উদ্দিন ছিলেন অফিস সহায়ক।
অভিযোগ আছে, তিনি বদলি হওয়ার আগে আলমগীর, আমির হোছন, মাবুদসহ অনেকের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকার বেশি নিয়ে নামজারি করেননি।
সেই প্রভাবেই আরিফ এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
ভুক্তভোগী কামাল নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, “একটি নামজারির জন্য আরিফ প্রথমে ৭০ হাজার টাকা দাবি করে, পরে ৫৫ হাজারে রাজি হয়। কিন্তু টাকা নেওয়ার চার মাস পরেও খতিয়ান বুঝিয়ে দেয়নি।”
আরও অভিযোগ রয়েছে, বড়ডেইল মৌজার একটি আরএস দলিলের নামজারির জন্য ৯২ হাজার টাকা নেওয়া হয়।
অফিসের বেশিরভাগ সময় আরিফ নাকি উপজেলা ভূমি অফিসে কাটান।
অথচ, এই ৩ হাজার টাকা বেতনের কর্মচারী ৩ লাখ টাকার বাইক চালান, এবং তার চলাফেরা রাজকীয়।
তবে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তহসিলদার।
এলাকার সচেতন মহল বলছে, “এই দুর্নীতি ও দাপটের লাগাম এখনই টেনে ধরতে না পারলে, আরিফ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।”
0 Comments