রুহুল্লার ডেবা রাজাপালং ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ১২তম তাফসিরুল কুরআন মাহফিল শেষে তাৎক্ষণিকভাবে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মাহফিলে প্রধান মুফাস্সির হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করেন শাইখ জামাল উদ্দিন হুজুর। তাঁর আবেগঘন বক্তব্যে শহীদ ওসমান হাদীর শাহাদাতের প্রসঙ্গ উঠে এলে উপস্থিত মুসল্লি ও এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র শোক ও প্রতিবাদের আবহ সৃষ্টি হয়।
মাহফিল শেষে শত শত মানুষ “হাদীর হত্যার বিচার চাই”, “খুনিদের গ্রেপ্তার করো”সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে রুহুল্লার ডেবা এলাকার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। মধ্যরাতে অনুষ্ঠিত এই শোক মিছিলে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, যুবক, ছাত্র ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
শোক মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, শহীদ শরীফ ওসমান হাদীর হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—এটি জাতির বিবেককে নাড়া দিয়েছে। এই নৃশংস হত্যার মাধ্যমে শুধু একটি প্রাণ নয়, একটি সাহসী কণ্ঠকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।
বক্তারা আরও বলেন—
“হাদি মরে যায়নি—
হাদি বেঁচে আছে।
বেঁচে থাকবে বাঙালির হৃদয়ে,
প্রতিবাদের ভাষায়,
সাহসী কণ্ঠে—
যুগ যুগ ধরে।”
তাঁরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, শহীদ ওসমান হাদীর দেখা স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই হবে এই সময়ের বিপ্লবী ও সচেতন প্রজন্মের ঐতিহাসিক দায়িত্ব।
উল্লেখ্য, ওসমান হাদীর ইন্তেকালে দেশ হারিয়েছে এক প্রিয় মানুষকে এবং পরিবার হারিয়েছে তাদের সবচেয়ে আপনজনকে। তাঁর এই অকাল ও মর্মান্তিক মৃত্যুতে পুরো বাংলাদেশ শোকাহত।
শেষে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
মহান আল্লাহ তায়ালা যেন শহীদ শরীফ ওসমান হাদীকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের ধৈর্য ধারণের শক্তি দান করেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
0 Comments