হিমশীতল কুয়াশা মাখা হাওয়ায় সূর্যাস্ত দেখতে লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সৈকতের পাশাপাশি হোটেল-মোটেল জোনের অলিগলি ও সড়কেও বেড়েছে মানুষের চলাচল। পর্যটকবাহী যানবাহন, ইজিবাইক ও সিএনজি অটোরিকশার কারণে কলাতলী ডলফিন মোড়, বাইপাস সড়ক ও লাবণী-শৈবাল সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন পর্যটকরা।
পর্যটন ব্যবসায়ী সূত্র জানায়, ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটছে। সাড়ে চার শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টে আগাম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। বছরের শেষ ও নতুন বছরের শুরুতে প্রায় পাঁচ থেকে দশ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বাণিজ্যের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, সাদা পোশাকে নজরদারি, সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে হয়রানি রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লাইফগার্ডরাও পর্যটকদের সমুদ্রে নামার সময় নিয়মিত সতর্ক করছেন।
কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, পর্যটন জোনে প্রায় দেড় লাখ পর্যটকের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনেক হোটেলে আগাম বুকিং রয়েছে। বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে সামনে আরও পর্যটক বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
0 Comments